প্রতিষ্ঠান পরিচিতি

প্রতিষ্ঠানের নাম : ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল

লক্ষ্য:

আধুনিক ও নৈতিক শিক্ষার সমন্বয়ে সৎ, যোগ্য ও আলোকিত মানুষ তৈরি।

উদ্দেশ্য

শিক্ষার্থীদেরকে আদর্শ ও দক্ষ মানবসম্পদরূপে গঠন করার মাধ্যমে দেশ ও জাতির সেবা করা।

ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে একটি ব্যতিক্রমধর্মী আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। রাজধানী শহর ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় স্কুলটি ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সুশৃঙ্খল পরিবেশে একাধিক ক্যাম্পাসে ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুলের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। অত্র প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন জনাব মো. শহীদুল্লাহ এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন জনাব মো. আনোয়ার হোসেন এবং জনাব বশির আহম্মদ ভূঁইয়া । তাঁদের সুষ্ঠু পরিচালনা ও নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক-শিক্ষিকামণ্ডলীর নিষ্ঠা ও ত্যাগের ফলে ইতোমধ্যেই স্কুলটি সর্বমহলে প্রথম শ্রেণির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। অত্যাধুনিক পাঠদানপদ্ধতি, অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী, সুপরিসর ক্লাসরুম, ছাত্র-ছাত্রীদের পৃথক শিফ্টের ব্যবস্থা এবং ম্যানেজিং কমিটির সুদক্ষ পরিচালনায় স্কুলটি উত্তরোত্তর সাফল্য লাভ করে চলেছে।
বর্তমানে গ্রীন মডেল টাউন, মান্ডা, ঢাকা, এই ঠিকানায় স্কুলের নিজস্ব ভবনেও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

স্কুলের পরিবেশ

ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল ঢাকার খিলগাঁও-এ অত্যন্ত মনোরম ও খোলামেলা পরিবেশে অবস্থিত। ক্যাম্পাসে রয়েছে :
• শিক্ষাগ্রহণের উপযোগী শ্রেণিকক্ষ
• উন্নতমানের শিক্ষা উপকরণ
• সমৃদ্ধ পাঠাগার
• সুপরিসর বিজ্ঞানাগার
• অত্যাধুনিক কম্পিউটার ল্যাব
• ছাত্র-ছাত্রীদের আলাদা ক্লাসের ব্যবস্থা
• উন্নত টয়লেট ও পয়ঃনিষ্কাশন
• স্কাউটিং
• সহশিক্ষা কার্যক্রম

শিক্ষার মাধ্যম

পাঠদান ও পাঠগ্রহণ এ দু’টো প্রক্রিয়ার জন্য শিক্ষার মাধ্যম অতীব গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বায়নের যুগে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একজন শিক্ষার্থীর গুণগতমান বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাতৃভাষায় পাঠদানের পাশাপাশি ইংরেজি ভাষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করেই ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার মাধ্যম বাংলা হওয়া সত্ত্বেও ইংরেজি শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুলের নিজস্ব কতকগুলো ব্যতিক্রমধর্মী বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
নিম্নে বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ করা হল :
• বিষয়ভিত্তিক সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী শিক্ষক/শিক্ষিকা কর্তৃক পাঠদান।
• সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ নিয়োগপরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্যতার ভিত্তিতে শিক্ষক/শিক্ষিকা নিয়োগ দান।
• গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে সাধারণ ক্লাস ছাড়াও অতিরিক্ত ক্লাস এর ব্যবস্থা।
• নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে পাঠ্যবিষয় বুঝিয়ে দিয়ে পড়া দেয়া এবং পরের দিন পড়া আদায় করা।
• দৈনিকপাঠ না শিখলে সংশোধনী ক্লাসের মাধ্যমে পড়া শেখানোর ব্যবস্থা।
• সকল শাখায় ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৩০-৩৫ জনের মধ্যে সীমিত।
• জুনিয়রওয়ান ও প্রথম শ্রেণিতে সার্বক্ষণিক দু’জন শিক্ষকের ব্যবস্থা।
• নিয়মিত ডায়েরি সংরক্ষণ এবং দৈনিক পাঠ মূল্যায়নের ভিত্তিতে ডায়েরি মার্কস এর ব্যবস্থা।
• কম্পিউটার শিক্ষার সুব্যবস্থা।
• আরবি ও ধর্মীয় নিয়ম-নীতির ব্যবহারিক শিক্ষার ব্যবস্থা।
• চিত্রাঙ্কনের বিশেষ ব্যবস্থা।
• শিক্ষার্থীদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ ও স্বনির্ভর করে গড়ে তোলার ব্যবস্থা।
• আধুনিক স্বাস্থ্যসম্মত শ্রেণিকক্ষ।
• সু-সজ্জিত বিজ্ঞানাগার ও কম্পিউটার ল্যাব।
• ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির ক্ষেত্রে যোগ্যতা ও মেধার প্রাধান্য দেয়া।
• ছাত্র-ছাত্রীর শ্রেণি অনুসারে উপযুক্ত বয়সের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্বারোপ।
• ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া সম্পর্কিত যেকোন ধরনের সমস্যা ও পরামর্শ সরাসরি ব্যক্তিগতভাবে কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করার সুযোগ।
• উশৃঙ্খল আচরণ ও শৃঙ্খলা
• যেকোন ধরনের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি প্রদান সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
• অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আগের ক্লাসে রেখে যথাযথ যত্নের ব্যবস্থা।
• সুনিয়ন্ত্রিত শৃংখলাপদ্ধতি ও কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা।

সমৃদ্ধ ল্যাবরেটরি

ব্যবহারিক শিক্ষা আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার একটি অপরিহার্য অংশ। এখানে শিক্ষার্থীদের তত্ত্বীয় জ্ঞানের পাশাপাশি পর্যাপ্ত ব্যবহারিক শিক্ষা অর্জনের জন্য রয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামসমৃদ্ধ ল্যাবরেটরি। পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও উচ্চতর গণিতের জন্য পৃথক পৃথক ল্যাবরেটরি রয়েছে।

স্পোকেন ইংলিশ

ইংরেজি শিক্ষার পাশাপাশি ইংরেজিতে কথাবার্তা বলার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য ১ম থেকে ৪র্থ শ্রেণি পর্যন্ত Spoken English ক্লাসের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রত্যেক সাময়িকে ৫০ নম্বরের Spoken English পরীক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণ করতে হয়।
৫ম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও জে.এস.সি পরীক্ষার্থীদের ভাল ফলাফলের জন্য তৈরি করার নিমিত্তে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়। প্রত্যেক শনিবার মডেল টেস্ট নেয়া হয়।

সংশোধনী ক্লাস

প্রতি ক্লাসেই দৈনিক পাঠ (পূর্বদিনের বাড়ীর কাজসহ) আদায় করা হয়। যদি কোন কারণে শিক্ষার্থীরা বাড়ির পাঠ শিখে না আসে অথবা বাড়ির কাজ করতে ব্যর্থ হয় সেক্ষেত্রে তাদেরকে ছুটির পর সংশোধনী ক্লাসের মাধ্যমে দৈনিক পাঠ পুনরায় শেখানো এবং আদায় করা হয়।

হস্তাক্ষর সুন্দরকরণ

সকল ছাত্র-ছাত্রীর বাংলা, ইংরেজি ও মুসলিম শিক্ষার্থীদের আরবী হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য বিশেষ যত্ন নেয়া হয়। প্রত্যেক পরীক্ষায় হস্তাক্ষর সুন্দরের জন্য আলাদা নম্বর রেখে ছাত্র-ছাত্রীদের সুন্দর হস্তাক্ষরের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়। বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হস্তাক্ষরের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা রয়েছে।

হ্যান্ডনোট প্রদান

পরীক্ষায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর সন্তোষজনক ফলাফল অর্জনের লক্ষ্যে শিক্ষকগণ পাঠ্যসূচী অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় এবং উন্নতমানের হ্যান্ডনোট প্রদান করে থাকেন। ফলে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকগণ একটু সচেতন হলে বাসায় প্রাইভেট টিউটর ছাড়াই শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হয়। হ্যান্ডনোট ফটোকপি বাবদ যে খরচ হয় তা অভিভাবককে বহন করতে হয়। উল্লেখ্য যে, হ্যান্ডনোট গ্রহণ বাধ্যতামূলক নহে।

একাডেমিক ক্যালেন্ডার

প্রতি শিক্ষাবর্ষে স্কুলের যাবতীয় কার্যাবলি, বাৎসরিক ছুটি, অনুষ্ঠানসূচি, বিভিন্ন পরীক্ষার সময়সূচি ও ফলাফল ঘোষণার তারিখ শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই একাডেমিক ক্যালেন্ডার (দেয়াল ক্যালেন্ডার) এর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের জানানোর ব্যবস্থা করা হয়। এই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সাংবাৎসরিক সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

চিত্রাঙ্কন

জুনিয়রওয়ান, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের চিত্রাঙ্কনের উপর বিশেষ ক্লাসের মাধ্যমে খুব সহজে ছবি আঁকার নিয়ম-কানুন শেখানো হয় এবং প্রত্যেক সাময়িকে ৫০ নম্বরের ড্রইং পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

কম্পিউটার প্রশিক্ষণ

২য় শ্রেণি থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সুদক্ষ কম্পিউটার শিক্ষক কর্তৃক কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। সাংবৎসরিক সিলেবাসের সাথে সংশ্লিষ্ট কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে একজন দক্ষ কম্পিউটার ইউজার হিসেবে তৈরি করা হয় এবং শিক্ষার্থীর মাঝে কম্পিউটারে উচ্চ শিক্ষার ভিত্তি রচনা করা হয়।

কুরআন শিক্ষা

ছাত্র-ছাত্রীদেরকে শুদ্ধভাবে কুরআন তেলাওয়াত শিক্ষা দেয়ার জন্য সিলেবাসে বিশেষ আয়োজন রয়েছে।

ব্যবহারিক ধর্ম

সিলেবাসভুক্ত পাঠ্যসূচীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেকে ধর্মের ব্যবহারিক নিয়মকানুন শেখানো হয়। প্রতি সাময়িকে এর জন্য রয়েছে ৫০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষার ব্যবস্থা।

ক্লাস ডায়েরি

শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন একাডেমিক কর্মকাণ্ড লিপিবদ্ধ করার জন্য বছরের শুরুতে ডায়েরি প্রদান করা হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার মান, নৈতিক চরিত্র, আচার-আচরণ ও উপস্থিতি সম্পর্কিত তথ্য ডায়েরির মাধ্যমে অভিভাবককে প্রতিদিন অবহিত করা হয়, যাতে অভিভাবক তাঁর সন্তানের অবস্থা সম্পর্কে সর্বদা অবগত থাকতে পারেন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। ছাত্র-ছাত্রীর দৈনন্দিন কার্যক্রম অবগত হয়ে অভিভাবককে প্রতিদিন ডায়েরিতে স্বাক্ষর করতে হয়। এ স্বাক্ষর দেখে শিক্ষক নিশ্চিত হবেন যে, ছাত্র-ছাত্রীর সঠিক অবস্থা সম্পর্কে অভিভাবক অবহিত আছেন।
শ্রেণিতে শিক্ষাদান পদ্ধতিকে কার্যকর ও ছাত্র-ছাত্রীর পড়া আদায়কে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শ্রেণীপাঠের উপর ডায়েরিতে নম্বর প্রদান করা হয় এবং সাংবৎসরিক ফলাফলের সাথে এ নম্বর যোগ করা হয়। ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসের এই নম্বরের জন্য সর্বদা পড়া-লেখার মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকে।